বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনসমূহ

অপারেশন ক্লিনহার্ট
⇨ অপারেশন ক্লিন হার্ট  হলো অপরাধ বিরোধী একটি যৌথ অপারেশনের নাম। 
⇨ অপারেশনটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ রাইফেলস, বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ আনসার সদস্যদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছিলো।
⇨ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এ কার্যক্রম চালানো হয় ।
⇨ অপারেশনটি ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। 
⇨ অপারেশনে ৫০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনী অংশগ্রহণ করেছেন।
⇨ অপারেশন চলাকালে যৌথ বাহিনী ১১ হাজার ২৪৫ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। শত শত আহত হয়েছে এবং 40 জনেরও বেশি হেফাজতে মারা গেছেন। 
⇨ ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি ক্ষতিপূরণমূলক আইন পাস করে যা অপারেশনে অংশগ্রহণকারী নিরাপত্তা ব্যক্তিদের আইনি সুরক্ষা প্রদান করে।
⇨ ২০১৫ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ হাইকোর্ট এ্যাডমিনিটি অ্যাটর্নি অবৈধ ঘোষণা করে আইনটি বাতিল করে দেয়।

অপারেশন জ্যাকপট
অপারেশন জ্যাকপট হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন। এটি ছিল একটি আত্মঘাতী অপারেশন। এ অপারেশন ১৯৭১-এর ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়। ১০নং সেক্টরের অধীনে ট্রেনিং প্রাপ্ত নৌ কমান্ডো যোদ্ধাদের অসীম সাহসিকতার নিদর্শন এই অপারেশন জ্যাকপট। এই গেরিলা অপারেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকগুলো অস্ত্র ও রসদবাহী জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজগুলোর মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্যকারী অনেক বিদেশি জাহাজও থাকায় এই অপারেশন বাংলাদেশের যুদ্ধ এবং যোদ্ধাদেরকে সারা বিশ্বে পরিচিতি পাইয়ে দেয়।সারা বিশ্ব বুঝতে পারে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই লড়ছে।এটি বাংলাদেশের ইতিহাস এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিশন।

Comments