বাংলাদেশের GI পণ্য
GI এর পূর্ণরূপ ⇨ Geographical Indication
কোনো একটা দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য। আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ওয়াল্ড প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন (World Property Rights Organization) এর নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে।
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ নাগাদ বাংলাদেশের নিবন্ধিত জিআই পণ্য ৫১টি।
জিআই পণ্যের তালিকাঃ
১। জামদানি শাড়ি ⇨ ২০১৬
২। ইলিশ মাছ ⇨ ২০১৭
৩। চাপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম ⇨ ২০১৯
৪। বিজয়পুরের সাদামাটি ⇨ ২০২১
৫। দিনাজপুরের কাটারীভোগ ⇨ ২০২১
৬। কালিজিরা ⇨ ২০২১
৭। রংপুরের শতরঞ্জি ⇨ ২০২১
৮। রাজশাহি সিল্ক ⇨ ২০২১
৯। ঢাকাই মসলিন ⇨ ২০২১
১০। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঐ্জের ফজলী আম ⇨ ২০২৩
১১। বাগদা চিংড়ি ⇨ ২০২৩
১২। শীতল পাটি ⇨ ২০২৩
১৩। বগুড়ার দই ⇨ ২০২৩
১৪। শেরপুরের তুলশীমালা ধান ⇨ ২০২৩
১৫। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম ⇨ ২০২৩
১৬।চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম ⇨ ২০২৩
১৭। নাটোরের কাঁচাগোল্লা ⇨ ২০২৩
১৮। বাংলাদেশ ব্লয়াক বেঙ্গল টাইগার ⇨ ২০২৪
১৯। টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম ⇨ ২০২৪
২০। কুমিল্লার রসমালাই ⇨ ২০২৪
২১। কুষ্টিয়ার তিলের খাজা ⇨ ২০২৪
২২। রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, রংপুর ⇨ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
২৩। মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজার ⇨ ১২ এপ্রিল ২০১৭
২৪। মৌলভীবাজারের আগর আতর, মৌলভীবাজার ⇨ ১১ জুলাই ২০১৯
২৫। মুক্তাগাছার মণ্ডা, ময়মনসিংহ ⇨ ২ মে ২০২৩
২৬। যশোরের খেজুরের গুড়, যশোর ⇨ ২৩ মে ২০২৩
২৭। নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, নরসিংদী ⇨ ২৯ আগস্ট ২০২৩
২৮। রাজশাহীর মিষ্টি পান, রাজশাহী ⇨ ৩১ আগস্ট ২০২৩
২৯। গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, গোপালগঞ্জ ⇨ ২২ আগস্ট ২০২৩
৩০। জামালপুরের নকশিকাঁথা, জামালপুর ⇨ ১৭ জুলাই ২০১৯
৩১। টাঙ্গাইল শাড়ি, টাঙ্গাইল ⇨ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
৩২। নরসিংদীর লটকন, নরসিংদী ⇨ ২৯ আগস্ট ২০২৩
৩৩। মধুপুরের আনারস, টাঙ্গাইল ⇨ ১৭ নভেম্বর ২০২৩
৩৪। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, ভোলা ⇨ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
৩৫। মাগুরার হাজরাপুরী লিচু, মাগুরা ⇨ ২৩ আগস্ট ২০২৩
৩৬। সিরাজগঞ্জের গামছা, সিরাজগঞ্জ ⇨ ৬ মার্চ ২০২৪
৩৭। সিলেটের মণিপুরি শাড়ি, সিলেট ⇨ ২১ জুন ২০২৩
৩৮। মিরপুরের কাতান শাড়ি, ঢাকা ⇨ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
৩৯। ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, ঢাকা ⇨ ২ নভেম্বর ২০২১
৪০। কুমিল্লার খাদি, কুমিল্লা ⇨ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
৪১। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি , ব্রাহ্মণবাড়িয়া ⇨ ৮ এপ্রিল ২০২৪
৪২। গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা, গোপালগঞ্জ ⇨ ১৪ মার্চ ২০২৪
৪৩। সুন্দরবনের মধু ⇨ ১৯ আগস্ট ২০১৭
৪৪। শেরপুরের ছানার পায়েস, শেরপুর ⇨ ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
৪৫। সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি, সিরাজগঞ্জ ⇨ ৬ মার্চ ২০২৪
৪৬। গাজীপুরের কাঁঠাল, গাজীপুর ⇨ ২০ মার্চ ২০২৪
৪৭। কিশোরগঞ্জের রাতা বোরো ধান, কিশোরগঞ্জ ⇨ ২১ মে ২০২৪
৪৮। অষ্টগ্রামের পনির, কিশোরগঞ্জ ⇨ ২১ মে ২০২৪
৪৯। বরিশালের আমড়া, বরিশাল ⇨ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
৫০। কুমারখালীর বেডশিট, কুষ্টিয়া ⇨ ২৩ মে ২০২৪
৫১। দিনাজপুরের বেদানা লিচু, দিনাজপুর ⇨ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
২০১৭ সালের ৯ মার্চ তারিখে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের করা আবেদনের পর ডিপিডিটি ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর ফজলি আমকে রাজশাহী জেলার ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। এর বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের বিরোধিতার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল সংশোধন করে রাজশাহীর সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জকেও ফজলি আমের সত্ত্ব প্রদান করা হয়।
Comments