বাংলাদেশ সরকারের মেগাপ্রকল্পসমূহ

মেগা প্রজেক্টসমূহের প্রাক্কলিত ব্যয়
* রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঈশ্বরদী (২৪০০ মেগাওয়াট) ⇨ ১,১৩,০৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা
* রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাট (১৩২০ মেগাওয়াট) ⇨ ১৪,৫১০ কোটি টাকা
* মাতাড়বাড়ি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মহেশখালী (১২০০ মেগাওয়াট) ⇨ ৩৫,৯৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা
* পদ্মা বহুমুখী সেতু (৬.১৫ কিলোমিটার) ⇨  ৩০,১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা
* পদ্মা রেলসেতু সংযোগ (১৭২ কিলোমিটার) ⇨ ৩৪,৯৯০ কোটি টাকা
* মেট্রোরেল-MRT-6 (২০.১০ কিলোমিটার, এলিভেটেড) ⇨ ২৩,৪৯০ কোটি টাকা
* মেট্রোরেল-MRT-1 (৩১.২৪ কিলোমিটার, আন্ডারগ্রাউন্ড) ⇨ ৫২,৫৬১ কোটি টাকা
* মেট্রোরেল-MRT-2 ( ৬০ কিলোমিটার, আন্ডারগ্রাউন্ড ও এলিভেটেড))
* মেট্রোরেল-MRT-4 (১৬ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড)
* মেট্রোরেল- MRT-5 (৩৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ও এলিভেটেড) ⇨ ৪৯,২৩৮ কোটি টাকা

* দোহাজারি-রামু কক্সবাজার-ঘুনধুম রেলপথ (১২ কিমি ও ২৮ কিলোমিটার) ⇨ ১৮,০৩৪ কোটি টাকা
* মাতাড়বাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, কক্সবাজার (১৬ মিটার গভীর) ⇨ ১৭,৭৭৭ কোটি টাকা
* পায়রা সমুদ্র বন্দর ⇨ ৩,৯৮২ কোটি টাকা
* এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালী, কক্সবাজার (দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) ⇨ ১৫৬ কোটি মার্কিন ডলার

অন্যান্য প্রকল্পসমূহের প্রাক্কলিত ব্যয়
* কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ (৩.৪০ কিলোমিটার) ⇨ ৯,৮৮০ কোটি টাকা
* ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (৪৬.৭৩ কিলোমিটার) ⇨ ৮,৯৪০ কোটি টাকা
* ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে (২৪ কিলোমিটার) ⇨ ১৬,৯০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা
* ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (৩৯.২৪ কিলোমিটার) ⇨ ১৬,৩৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা
* ঢাকা শহরে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো প্রকল্প (২৫৩ কিলোমিটার) ⇨ ৩২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা

মেগা প্রজেক্টসমূহের বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ বিবরণ তুলে ধরা হলোঃ

পদ্মা বহুমুখী সেতু
সম্ভাব্য যাচাই শুরু হয়  ১৯৯১ সালে (আওয়ামী লীগ সরকার)
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় ⇨ ২০০১ সালের ৪ জুলাই, 
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ⇨ মাননীয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 
প্রিকোয়ালিফিকেশন দরপত্র আহ্বান করা হয় ⇨ ২০১০ সাল
নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ⇨ ২০১১ সাল

যাদের সাথে ঋণচুক্রি হয়েছিলঃ
⇨ বিশ্বব্যাংক
⇨ জাইকা
⇨ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক
⇨ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক
বিশ্বব্যাংক কর্তৃক ঋণপত্র স্থগিত হয় ২০১২ সালের সেপ্টে্বরে

আন্তর্জাতিক দরপত্র  আহ্বান করা হয় ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল
দরপত্রে সাড়াদান করে ⇨ চায়না মেজর ব্রিজ কর্পোরেশন কোম্পানি
চায়না মেজর ব্রিজ কর্পোরেশন কোম্পানির সাথে চুক্তি হয় ⇨ ২০১৪ সালের ১৭ জুন
কার্যাদেশ প্রদান করা হয় ⇨ ২০১৪ সালের ৩৫ নভেম্বর
উদ্বোধন করা হয় ⇨ ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর
প্রকল্প ব্যয় ⇨ ৩০১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা
প্রথম স্প্যান বসানোর হয় ⇨২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর (৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে)
দৃশ্যমান হয় ⇨ ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর (১২ ও ১৩ নং পিলারের উপর ৪১ তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে)
দৈর্ঘ্য ⇨ ৬.১৫ কিলোমিটার
প্রস্থ ⇨ ১৮.১০ মিটার
সেতুর ধরণ ⇨ দ্বিতলা (উপরে সড়ক, নিচে রেলপথ)
পিলার সংখ্যা ⇨ ৪২ টি
স্প্যান সংখ্যা ⇨ ৪১ টি
সেতুটি মুন্সিগঞ্জের লৌহগঞ্জের সাথে শরিয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুর জেলাকে সংযুক্ত করেছে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যুক্ত জেলার সংখ্যা ⇨ ২১ টি
মূল সেতু নির্মাণের কাজ করেছে ⇨ চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি 
নদী শাসনের কাজ করছে ⇨ চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন
সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন যান চলাচল করবে ⇨ কমপক্ষে ২৪,৭০০ টি
পর্যায়ক্রমে ২০৪০ সালের দিকে প্রতিদিন যান চলাচলের সংখ্যা হবে ⇨ প্রায় ৪৫০০০ টি
নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় ⇨ ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা
সেতুটি উদ্বোধন করা হয় (সবার জন্য উন্মুক্ত) ⇨ ২০২২ সালের ২৫ জুন
পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মোক্ত করে দেয়া হয় ⇨ ২০২২ সালের ২৬ জুন
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয় ⇨ ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ টাকার মূল্যমানের স্মারক নোট প্রকাশ করে

অর্থনৈতিক গুরুত্ব
জাতীয় জিডিপি বাড়বে ⇨ ১.২৩ শতাংশ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ⇨ ২.৩ শতাংশ
সেতুর দুইপাড়ে কৃষির অগ্রগতি হবে ⇨ ১০ শতাংশ

নির্মিত হওয়ার ৩১ বছরের মধ্যে জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ⇨ ৬০০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
২০৩২ সালের পর বাৎসরিক রিটার্ন দাঁড়াবে ⇨ ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
প্রতিবছর সরকারের আয় বাড়বে ⇨ প্রায় ৪০,০০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে ⇨ ১০২ শতাংশ
কর্মসংস্থান হবে ⇨ প্রায় ২ কোটি বেকারের
উপকৃত জনগণের সংখ্যা হবে ⇨ ২৯ শতাংশ অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণের
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা জনসংখ্যা ⇨ জাতীয় গড়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি
পদ্মা সেতু নির্মিত হলে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য কমবে ⇨ ১.৯ শতাংশ
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে দারিদ্র্য কমবে ⇨ ০.৮৪ শতাংশ
স্থানীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য কমবে ⇨ ২ শতাংশ

পদ্মা সেতুর কারণে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে ⇨ ১৫৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ৯০০০ হেক্টর জমি
আন্তর্জাতিক  সংযোগ হবে ⇨ ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ে ও BRI

পদ্মা সেতু হওয়ার পূর্বে ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে সময় লাগত ⇨ ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা
পদ্মা সেতু হওয়াতে এখন সময় লাগবে ⇨ ৩ ঘণ্টা


পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প
অবস্থান- পদ্মা সেতু
সংযোগ করবে- রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
সংযোগ স্থান-ঢাকা, ফরিদপুর, নড়াইল ও যশোর
উদ্বোধন করা হয় ⇨ ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর
প্রাক্কলিত ব্যয়- ৩৪,৯৯০ কোটি টাকা
প্রকৃত ব্যয়- ৩৯,২৫৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা
আর্থিক সহায়তা করবে- চীন
চীনের আর্থিক সহায়তার পরিমাণ- ২৪,৭৪৯ কোটি টাকা
তত্ত্বাবধায়ক- সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট
পরামর্শক- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
রেল কোচের সংখ্যা- ১০০ টি
রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য- ১৭৩ কিলোমিটার
রেলপথের ধরণ- ব্রডগেজ রেলপথ
কাজের অগ্রগতি - ৬৭ শতাংশ

মেট্রোরেল প্রকল্প
২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ২০ বছর মেয়াদী মেট্রোরেলের কৌশলগত পরিকল্পনা করা হয়।
প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পায় ⇨ ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ⇨ ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর
প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হয় ⇨ ২০১৪ সালের ১১ জুলাই ডিপোর ভূমি উন্নয়নের মাধ্যমে
প্রাথমিক নকশার কাজ শেষ হয়েছে ⇨ ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ⇨ ২৬ জুন, ২০১৬

দৈর্ঘ্য ⇨ প্রায় ২০.১ কিলোমিটার
সড়কের মাঝ বরাবর মাটি থেকে মেট্রোরেলের উচ্চতা ⇨ ১৩ মিটার
প্রাক্কলিত প্রকল্প ব্যয় ⇨ ২৩৪৯০ কোটি টাকা
প্রকৃত নির্মাণ ব্যয় ⇨ ৩৩,৪৭২ কোটি টাকা
জাইকার অর্থায়নের পরিমাণ ⇨ ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা
সরকারি তহবিল থেকে অর্থায়নের পরিমাণ ⇨ ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা
ঋণের গ্রেস পেরিয়ড ⇨ ১০ বছর
ঋণ পরিশোধ করতে হবে ⇨ ২০ বছরের মধ্যে
দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুরের দৈর্ঘ্য ⇨ ২১.২৬ কিলোমিটার
এমআরটি-৬ লাইনে টৃরেন চলবে ⇨ ২৪ টি
ট্টেনের গতি ⇨ ১১০ কিমি ঘণ্টায়

সহায়তাকারী দেশ ⇨ জাপান
সহযোগী সংস্থা ⇨ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা
অর্থায়ন করছে ⇨ জাপান ও বাংলাদেশ সরকার
কন্টাক্ট প্যকেজ ⇨ ৮ টি

সংযোগ রয়েছে ⇨ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত + কমলাপুর 
স্টেশন সংখ্যা ⇨ ১৬ টি
উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছাতে সময় লাগে ⇨  প্রায় ৪০ মিনিট
মেট্রোরেল নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত ব্যবস্থা ⇨ Communication based train control system 
ট্রেনের ধরণ ⇨ একমুখী ট্রেন
ট্রেনের সংখ্যা ⇨ ২৪ টি
প্রতিটি ট্রেনে কোচ সংখ্যা ⇨ ৬ টি
প্রতিটি ট্রেন প্রতিবার যাত্রী পরবিহণ করতে পারবে ⇨ সর্বোচ্চ ২৩০৮ জন যাত্রী।  তবে আপাতত ২০০ যাত্রী চলাচল করবে
প্রতি ঘন্টায় যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতা ⇨ ৬০,০০০ জন
প্রতিদিন যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতাঃ
⇨ ২০২২ সালে ৪,৮৩,০০০ জন
⇨ ২০২৬ সালে ৫,৮৩,০০০ জন
⇨ ২০৫১ সালে ১৩,০০০০০ জন

চালুকৃত অবকাঠামোর মূল্য ⇨২.৫ বিলিয়ন মূল্যের অবকাঠামো
মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয় ⇨ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
সারাধণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ⇨ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চারটি মাইলফলক অর্জন সম্ভব হয়েছে। যথা-
⇨ মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক
⇨ মেট্রোরেলের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ
⇨ মেট্রোরেল পরিচালিত হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে, ফলে এটি হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ
⇨ মেট্রোরেলে নতুন করে ১২ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

দেশের দ্বিতীয় মেট্রোরেল প্রকল্পের নাম⇨ MRT-1

মেট্রোরেলে ভাড়া
কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ⇨ ৫ টাকা
সর্বনিম্ন ভাড়া ⇨ ২০ টাকা
দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ের ভাড়া ⇨ ৬০ টাকা
দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া ⇨ ১০০ টাকা
স্মার্টকার্ডে ভাড়া পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা
বিনা ভাড়ায় বা অতিরিক্ত ভ্রমণ করলে জরিমানা গুণতে হবে ⇨ মূল ভাড়ার ১০ গুণ

ঢাকা শহরে যানযটের কারণে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণঃ
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে,
শুধু ঢাকার যানজটের কারণেই বছরে আর্থিক ক্ষতি হয় ⇨ ১ লাখ ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ২.৯ শতাংশ
যানজটের কারণে মাসে ৫০ লাখ এবং বছরে ৬ কোটি কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে
১৯৯৮ সালে ঢাকায় গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, 
⇨ এখন গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪.৮ কিলোমিটার
⇨ যানজটের কারণে দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ গড়ে ৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা
⇨ ট্রাফিক সিগন্যালে দুর্ঘটনায় আট্থিক ক্ষতি ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা

কর্ণফুলী ট্যানেল নির্মাণ
ট্যানেলটির অফিসিয়াল নাম ⇨ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যানেল
ট্যানেলটি উদ্বোধন করা হয় ⇨ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর
ট্যানেলের মোট দৈর্ঘ্য⇨ ৯.৩ কিলোমিটার
ট্যানেলটির মূল দৈর্ঘ্য ⇨ ৩.৪ কিলোমিটার
এপ্রোচ রোড ⇨ ৫.২৫ কিলোমিটার
ওভার ব্রিজ ⇨ ৭২৭ মিটার
ট্যানেলের ব্যাস ⇨ ১২.২৫ মিটার
ট্যানেলের প্রস্থ ⇨ ১০.৮ মিটার
প্রকল্প ব্যয় ⇨ ৯৮৮০ কিলোমিটার
ট্যানেলে টিউবের সংখ্যা ⇨ ২ টি
লেনের সংখ্যা ⇨ ৪ টি
নদীর তলদেশ থেকে গভীরতা ⇨ সর্বনিম্ন ১৫ মিটার
সংযোগ স্থান ⇨পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলা
বছরে গাড়ি চলবে ⇨ ৬৩ লাখ গাড়ি
শেখ হাসিনা কর্ণফুলীতে ট্যানেল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন ⇨ ২০০৮ সালে
সহায়তাকারী দেশ ⇨ চীন
প্রকল্পটির কাজের দায়িত্বে আছে ⇨ China Communication Construction Company (CCCC)
ট্যানেলটির বৈশিষ্ট্য ⇨ ট্যানেলটি সাংহাই এর One City and Two Town Model হিসেবে আবির্ভূত হবে।
কর্মরত জনগণ ⇨ দেশী-বিদেশী সহ প্রায় ১২০০ জন
ট্যানেলটি জিডিপি বৃদ্ধি করবে- ০.১৬৬ শতাংশ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
অবস্থান ⇨ রূপপুর, পাবনা
মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ২৪০০ মেগাওয়াট
প্ল্যান্টের সংখ্যা ⇨ ২ টি ইউনিট
প্রতি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ১২০০ মেগাওয়াট
প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ⇨ ১,১৩,০৯২ কোটি ৯১ হাজার টাকা
সহায়তাকারী দেশ ⇨ রাশিয়া
রাশিয়ার আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ⇨ ৯০ শতাংশ
বাংলাদেশ সরকার জোগান দিবে ⇨ ১০ শতাংশ
চুক্তিকারী সংস্থা ⇨ রাশিয়ার Atomstroy Export প্রতিষ্ঠান
রাশিয়ার সাথে চুক্তির হয় ⇨ ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর
পরিচালনাকারী সংস্থা ⇨ রাশিয়ার Atomstroy Export
* The plant is predicted to eventually provide 15 percent of the country's electricity.
* Rosatom, the Russian state owned company running the project, will supply equipment, expendable  materials, and training to maintenance crews through the plant's operation.
* রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২য় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়⇨ ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর
* রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক জ্বালানি আনতে রাশিয়ার সঙ্গে প্রটোকল স্বাক্ষর করে ⇨ ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট
রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশ পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) চুক্তি করে ⇨ ২০২৩ সালের ৪ মে


পায়রা সমুদ্র বন্দর
* অবস্থান ⇨ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর উপকণ্ঠে রাবনাবাদ চ্যানেল
* প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন ⇨ ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর
* বন্দরটিতে প্রথম কন্টেইনার জাহাজ নোঙর করা শুরু করে ⇨ ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট
* ১৬৯ টি বিদেশি বাণিজ্য জাহাজের অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পন্ন করে ৩৫৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
* মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য বেলজিয়ামের জান ডি নুল কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দেশের রিজার্ভের অর্থাৎ বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের প্রথম প্রকল্প চুক্তি। এই চুক্তির ফলে ৫৩ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় হবে।
* বর্তমানে কনটেইনার টার্মিনাল, বাল্ক টার্মিনাল, মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, মডার্ন সিটি, বিমানবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদিসহ ১৯ টি কম্পোনেন্টের কাজ চলমান রয়েছে।
* আশা করা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রাকে বিশ্বমানের একটি আধুনিক বন্দর ও ২০৩৫ সালের মধ্যে এক বৃহত্তর আর্থিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

* পায়রা বন্দরে ইতিমধ্যে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়েছে। সমুদ্রের সন্নিকটে নির্মিত বন্দর বলে প্রতিবেশী দেশগুলো পায়রা থেকে ট্রানজিট সুবিধা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
চট্টগ্রাম থেকে সমুদ্রতলদেশে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার এলাকার জৈব-অজৈব সব সম্পদের মালিকানা এখন আমাদের। 
প্রায় ২০০ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে এখানে।
পদ্মা সেতুকে কানেক্ট করে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী  হয়ে কুয়াকাটা সৈকত পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
* বর্তমানে এই বন্দরের চ্যনেলের গভীরতা ৬.৩ কিলোমিটার, যা বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এর অর্থায়নে কৃত ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে
ভবিষ্যতে চ্যনেলের গভীরতা ১০.৫ মিটারের উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ⇨ ৪৩৭.৩০ কোটি টাকা
১ম পর্যায়ে প্রাক্কলিত ব্যয় ⇨ ১১২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা
২য় পর্যায়ে প্রাক্কলিত ব্যয় ⇨ ৩৩৫০ কোটি ৫১ লাখ টাকা
৩য় পর্যায়ে ব্যয় ⇨ ৪৩৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা
বন্দরটি নির্মাণের ফলে দেশের জিডিপি প্রায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।


দোহাজারি-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেলপথ
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য ⇨ ১২৮ কিলোমিটার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ⇨ ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল
প্রকল্পটি Fast track প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয় ⇨ ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল
মিয়ানমার সীমানার ঘুমধুম এলাকায় মিয়ানমারের অনিচ্ছার কারণে নির্মাণকাজ স্থগিতকৃত রেলপথের দৈর্ঘ্য ⇨ ২৮.৭৬ কিলোমিটার
বর্তমানে ৭৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে
রেলপথটি চালু হওয়ার সম্ভাব্য সময় ⇨ ২০২৩ সালের জুন

বাস রাপিড ট্রানজিট প্রকল্প
প্রকল্পের নাম ⇨ BRT-3
দৈর্ঘ্য ⇨ ২০.৫ কিলোমিটার
যোগাযোগ স্থাপন হবে ⇨ গাজীপুরের শিভবাড়ি থেকে উত্তরা এয়ারপোর্ট
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা বাস রাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর আওতায়
এখন পর্যন্ত ৮২.২৫ শতাংশ প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ⇨ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হয় ⇨ ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ⇨১৯.৭৩ কিলোমিটার
অবস্থান ⇨ উত্তরা এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রাবাড়ির কুতুবখালি পর্যন্ত
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে⇨ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর অধীনে
এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে

মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প
প্রকল্পের নাম ⇨ মাতারবাড়ি আলট্রা সুপার  ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প
উদ্বোধন করা হয় ⇨ ২০১৪ সালের জুলাই মাসে
স্থান ⇨ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়ন
প্রকল্প ব্যয় ⇨ ৩৫৯৮৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা
সহায়তাকারী সংস্থা ⇨ জাইকা
উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ১২০০ মেগাওয়াট
প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় ⇨ ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প
প্রকল্পের নাম ⇨ মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্প
উদ্বোধন করা হয় ⇨ ২০০৯ সালের জুলাই মাসে
স্থান ⇨ বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার পশুর নদীর তীরে অবস্থিত
প্রকল্প ব্যয় ⇨ ১৫০০০ কোটি টাকা
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ১৩২০ মেগাওয়াট

এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প
স্থান ⇨ কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপ
উদ্বোধন করা হয় ⇨ ২০১০ সাল
প্রকল্প ব্যয় ⇨ ৭০০০ কোটি টাকা
চুক্তিকারী সংস্থা ⇨ Excelerate Energy Bangladesh Limited এবং Summit LNG Terminal Co. (Pvt) Lt.
টার্মিনালটির নির্মাণ পদ্ধতি ⇨ Build own operate and Transfer (BOOT) পদ্দতি
বানিজ্যিক ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় ⇨ ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট
দৈনিক গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতা ⇨ ৫০০ ঘনফুট
বর্তমানে চাহিদার মাত্র ৩০ শতাংশ সার দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি ৭০ শতাংশ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা গেলে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে সার কারখানা ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প
অবস্থান ⇨ সোনাদিয়া
প্রকল্প ব্যয় ⇨ ৫০,০০০ কোটি টাকা
সরকার প্রকল্পটি হাতে মেয় ⇨ ২০০৯ সালে

গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত সোনাদিয়া দ্বীপটির আয়তন ৯ বর্গকিলোমিটার । কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত সোনাদিয়া দ্বীপটি অতিথি পাখির জন্য ও পরিচিত । সোনাদিয়া দ্বীপকে দিয়া বা প্যারা দ্বীপ নামেও ডাকা হয় । উল্লেখ্য, বর্তমানে এ দ্বীপে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প স্থগিত রয়েছে ।

Comments