পরিসংখ্যান (ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা)
* এশিয়া মহাদেশ আফ্রিকা মহাদেশের চাইতে ১.৫ গুণ বড়।
* এশিয়া মহাদেশ উত্তর আমেরিকা মহাদেশের চাইতে ১.৮২ গুণ বড়
* এশিয়া মহাদেশ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের চাইতে ২.৪ গুণ বড়
* এশিয়া মহাদেশ এন্টার্কটিকা মহাােশের চাইতে ৩.১২ গুণ বড়
* এশিয়া মহাদেশ ইউরোপ মহাদেশের চাইতে ৪.১৯ গুণ বড়
* এশিয়া মহাদেশ ওশেনিয়া মহাদেশের চাইতে ৫.৭৩ গুণ বড়
* রাশিয়া ইউরোপ মহাদেশের দেশ হলেও রাশিয়ার ৭০ শতাংশ এরও অধিক ভূখণ্ড এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান
বাংলাদেশের অক্ষরেখাঃ ২০°৩৪' উত্তর অক্ষরেখা হতে ২৬°৩৮' উত্তর অক্ষরেখা
দ্রাঘিমারেখাঃ ৮৮°০১' পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা হতে ৯২°৪১' পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা
বাংলাদেশের মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে যা ২৩°৫' উত্তর অক্ষরেখায় বা ২৩.৫° উত্তর অক্ষরেখায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের আয়তন
বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।
আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান
⇨ সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির মতে ৯৫তম
⇨ উইকিপিডিয়ার মতে ৯২ তম
রাজধানী ঢাকা
রাজধানী ঢাকার আয়তন ১৪৬৩.৬০ বর্গকিলোমিটার
বাংলাদেশের সীমানা
বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখা ⇨ ৫১৩৮ কিমি/৪৭১২ কিমি/৪৭১৯ কিমি/ ২৯২৮ মাইল/২৯২৬ মাইল
বাংলাদেশের সর্বমোট স্থলসীমা ⇨ ৪৪২৭ কিমি/ ৩৯৯৫ কিমি
বাংলাদেশের উপকূলের দৈর্ঘ্য ⇨ ৭১১ কিমি/ ৭১৬ কিমি/ ৪৪৫ মাইল
বাংলাদেশ-ভারত সীমারেখার দৈর্ঘ্য ⇨ ৪১৫৬ কিমি/ ৩৭১৫ কিমি
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারেখার দৈর্ঘ্য ⇨ ২৭১ কিমি/ ২৮০ কিমি
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্য সংখ্যা ⇨ ৫ টি
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের জেলার সংখ্যা ⇨ ৩২ টি
বাংলাদেশের মোট সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৩২ টি
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৩০ টি
মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৩ টি (রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার)
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাজ্য ⇨ ২ টি (রাখাইন, চিন)
ভারত-মায়ানমার উভয় দেশের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ১ টি (রাঙামাটি)
চট্টগ্রাম বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৬ টি
সিলেট বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৪ টি
ময়মনসিংহ বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৪ টি
রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৬ টি
রাজশাহী বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৪ টি
খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা ⇨ ৬ টি
বাংলাদেশের ২ টি বিভাগের সাথে ভারতের কোনো সীমান্ত সংযোগ নেই (ঢাকা ও বরিশাল)।
বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয়
মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তির রায়ে বাংলাদেশ ১,১১,৬৩১ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র সীমা জয় লাভ করে।
ভারতের সাথে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তির রায়ে বাংলাদেশ ২৫,৬০২ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র সীমার মধ্যে ১৯,৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র সীমা জয় লাভ করে।
রায়ে প্রাপ্ত,
টেরিটোরিয়াল সমুদ্রসীমার দৈর্ঘ্য ⇨ ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার
রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা ⇨ ১২ নটিক্যাল মাইল
একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল ⇨ ২০০ নটিক্যাল মাইল
মহীসোপান ⇨ ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল
১ নটিক্যাল মাইল ⇨ ১.৮৫২ কিলোমিটার
পৃথিবীর তৈরির উপাদান
লোহা ⇨ ৩২.১%
অক্সিজেন ⇨ ৩০.১%
সিলিকন ⇨ ১৫.১%
ম্যাগনেসিয়াম ⇨ ১৩.৯%
সালফার ⇨ ২.৯%
নিকেল ⇨ ১.৮%
ক্যালসিয়াম ⇨ ১.৫%
অ্যালুমিনিয়াম ⇨ ১.২%
অন্যান্য ⇨ ১.২%
ভূত্বকের উপাদান
অক্সিজেন ⇨ ৪২.৭%
সিলিকন ⇨ ২৭.৭%
অ্যালুমিনিয়াম ⇨ ৮.১%
লোহা ⇨ ৫.১%
ক্যালসিয়াম ⇨ ৩.৭%
সোডিয়াম ⇨ ২.৮%
পটাসিয়াম ⇨ ২.৬%
ম্যাগনেসিয়াম ⇨ ২.১%
অশ্মমণ্ডল (Lithosphere)
ভূত্বকের গড় পুরুত্ব ⇨ ২০ কিলোমিটার
ভূত্বক মহাদেশের তলদেশের গড় পুরুত্ব ⇨ ৩৫ কি.মি
সমুদ্র তলদেশের গড় পুরুত্ব ⇨ ৫ কিমি
গুরুমণ্ডল (Barysphere)
গড় পুরুত্ব ⇨ ২৮৮৬ কিমি
ঊর্ধ্ব গুরুমন্ডলের বিস্তৃতি ⇨ ৭০০ কিমি
নিম্ন গুরুমন্ডলের বিস্তৃতি ⇨ ২১৮৫ কিমি
কেন্দ্রমন্ডল (Centrosphere)
গড় পুরুত্ব ⇨ ৩৪৮৬ কিমি
তরল বহিরাবরণের পুরুত্ব ⇨ প্রায় ২২৭০ কিমি
কঠিন অন্তস্তরের পুরুত্ব ⇨ প্রায় ১২১৬ কিমি
চাপ ⇨ কেন্দ্রমন্ডলের চাপ পৃথিবী পৃষ্ঠের বায়ুচাপের চেয়ে কয়েক লক্ষ গুণ বেশি
তাপমাত্রা ⇨ প্রায় ৩০০০°C থেকে ৫০০০° C
মাটি
সাধারণত আদর্শ মাটিতে ৫ ভাগ জৈব পদার্থ থাকে।
প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে মাটি ৫ প্রকার যথা পাহাড়ি মাটি, ল্যাটোসেলিক মাটি, পলল মাটি, জলাভূমি মাটি ও কোষ মাটি
বুনটের উপর ভিত্তি করে মাটি ৩ প্রকার যথা বেলে মাটি, দো-আাঁশ মাটি, এঁটেল মাটি
বেলে মাটিতে বালিকণার পরিমাণ ⇨ ৭০ ভাগ বা তার বেশি
এঁটেল মাটিতে কর্দমকণার পরিমাণ ⇨ ৪০-৫০%
ভোগোলিক দিক দিয়ে বিচার করলে পৃথিবীর সমগ্র ভূমিরূপকে ৩ টি ভাগে ভাগ করা যায় যথা পর্বত, মালভূমি ও সমভূমি
পাহাড়ের গড় উচ্চতা ⇨ ৬০০ থেকে ১০০০ মিটার
পর্বতের গড় উচ্চতা ⇨ ১০০০ মিটারের বেশি
মাউন্ট এভারেস্ট
সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ⇨ ৮৮৪৮ মিটার/ ২৯০২৯ ফুট/ ২৯০৩৫ ফুট
মালভূমি
পৃথিবীর বৃহত্তম মালভূমি পামির মালভূমির উচ্চতা ৪২৭০ মিটার থেকে ৫১৯০ মিটার
মরুভূমি
মরুবূমিতে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ⇨ ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেমি বা তার চেয়েও কম।
উত্তর চিলির আতাকামা মরুভূমিতে একশ বছরে গড়ে তিন থেকে চার বার বৃষ্টিপাত হয়।
হিমবাহ
দিনে হিমবাহের গতি কয়েক সেন্টিমিটার মাত্র।
পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ গ্রেট বালটোরা এর দৈর্ঘ্য ৫৮ কিলোমিটার
গিরিখাত
সিন্ধু নদের গিরিখাতের গভীরতা প্রায় ৫১৮ মিটার
উত্তর আমেরিকার কলোরাডো নদীর গিরিখাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এর-
⇨ বিস্তৃতি ১৩৭-১৫৭ মিটার
⇨ গভীরতা প্রায় ২.৪ কিলোমিটার
⇨ দৈর্ঘ্য ৪৮২ কিলোমিটার
জলপ্রপাত
পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত এর উচ্চতা ৩২১২ ফুট।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পানি ২৫০ ফুট উপর থেকে নিচে পতিত হয়।
পৃথিবী পৃষ্ঠের স্থলভূমির পরিমাণ ২৯.২ শতাংশ এবং জলভূমির পরিমাণ ৭০.৮ শতাংশ।
বারিমনডলের বিভিন্ন অংশের পানির পরিমাণঃ
সমুদ্রে পানির পরিমাণ ⇨ ৯৭.২৫%
হিমবাহে পানির পরিমাণ ⇨ ২.০৫%
ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ ⇨ ০.৬৮%
হ্রদে পানির পরিমাণ ⇨ ০.০১%
মাটির আদ্রতায় পানির পরিমাণ ⇨ ০.০০৫%
বায়ুমণ্ডলে পানির পরিমাণ ⇨ ০.০০১%
নদীতে পানির পরিমাণ ⇨ ০.০০০১%
জীবমণ্ডলে পানির পরিমাণ ⇨ ০.০০০০৪%
মারিয়ানা ট্রেঞ্চ
সমুদ্রের গভীরতম অংশ মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরতা ⇨ ১০৮৭০ মিটার/১১০৩৩ মিটার বা ৩৫৪০০ ফুট/ ৩৬১৯৯ ফুট
ম্যারিয়ানা ট্টেঞ্জ গুয়াম দ্বীপের ৩২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
পোর্টোরিকো খাত
আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতম খাতা পোর্টোরিকো খাতের গভীরতা ⇨ ৮৫৩৮ মিটার
প্রবাল প্রাচীর
পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীল গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এর দৈর্ঘ্য ⇨ ২৩০০ কিলোমিটার
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এ ৪০০ প্রজাতির কোরাল এবং ১৫০০ প্রজাতির মাছের আবাসস্থল রয়েছে।
মহাসাগর
আফ্রিকা মহাদেশের ২৪ টি দেশআটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত।
বঙ্গোপসাগর
বঙ্গোপসাগরের আয়তন ⇨ ২২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
বঙ্গোপসাগরের গড় গভীরতা ⇨ ২৬০০ মিটার/ ৮৫০০ ফুট
বঙ্গোপসাগরের সর্বোচ্চ গভীরতা ⇨ ৪৬৯৪ মিটার/ ১৫৪০০ ফুট
বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ⇨ ১২০ কিলোমিটার
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ⇨ ১৮ বর্গকিলোমিটার
পারকী সমুদ্র সেকতের দৈর্ঘ্য ⇨১৩ বর্গকিলোমিটার
স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র
বিশ্বের মোট স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রের সংখ্যা ⇨ ৪৫ টি
এশিয়া মহাদেশে স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রের সংখ্যা ⇨ ১০ টি
আফ্রিকা মহাদেশে স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রের সংখ্যা ⇨ ১৬ টি
ইউরোপ মহাদেশে স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রের সংখ্যা ⇨ ১৭ টি
দক্ষিণ আমেটিকা মহাদেশে স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রের সংখ্যা ⇨ ২ টি
ছিদ্রায়িত রাষ্ট্র
* পৃথিবীতে ছিদ্রায়িত রাষ্ট্রের সংখ্যা ⇨ ২ টি ( ইতালি ও দক্ষিণ আফ্রিকা)
* অন্য রাষ্ট্র দ্বারা সম্পূর্ণরূপে পরিবেষ্টিত রাষ্ট্র ⇨ ৩ টি (লেসেথো, ভ্যাটিকান সিটি,স্যানম্যারিনো)
দ্বীপ
* ইন্দোনেশিয়ায় সর্বমোট ১৭৫০৪ টি দ্বীপ রয়েছে।ে
* কানাডায় দ্বীপ রয়েছে ৩০০০০ এর অধিক যা পৃথিবীর সর্বাধিক সংখ্যক দ্বীপ রাষ্ট্র।
বাংলাদেশের দ্বীপসমূহ
* সেন্টমার্টিন দ্বীপ টেকনাফ সমুদ্র উপকূল হতে ৯ কিমি দক্ষিণে নাফ নদীর তীরে অবস্থিত।
* ভোলা দ্বীপের আয়তন ⇨ ১৪৪১ বর্গ কিমি
* সন্দ্বীপের আয়তন ⇨ ৭৬২ বর্গকিমি
* মনপুরা দ্বীপের আয়তন ⇨ ৩৭৩ বর্গকিমি
* মহেশখালী দ্বীপের আয়তন ⇨ ৩৬২ বর্গ কিমি
* নিঝুম দ্বীপের আয়তন ⇨ ৯১ বর্গ কিমি/ ৩৫.১৩৬ বর্গ মাইল
* দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের আয়তন ⇨ ১০ বর্গ কিমি
* সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন ⇨ ৮ বর্গকিমি
* সোনাদিয়া দ্বীপের আয়তন ⇨ ৭ বর্গকিমি
মহীসোপান
* মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ২০০ মিটার।
* মহীসোপান সমুদ্র তলদেশে ০.১ ডিগ্রি কোণে নিমজ্জিত থাকে।
* মহীসোপানের গড় প্রশস্ততা ৭০ কিলোমিটার
* ইউরোপের উত্তরে বিস্তৃর্ণ সমভূমি থাকায় উত্তর মহাসাগরের মহীসোপান খুবই প্রশস্ত প্রায় ১২৮৭ কিলোমিটার
* ITLOS অনুযায়ী,
মহীসোপানের দৈর্ঘ্য হচ্ছে রাষ্ট্রের ভিত্তি রেখা হতে ২০০ নটিক্যাল মাইল বা ৩৭০.৪ কিলোমিটার
মহীসোপানের জন্য ঊর্ধ্বসীমা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট ভিত্তি রেখা থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল বা ৬৪৭.৫ কিলোমিটার
সমুদ্র তীর থেকে মহীসোপানের ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকাকে বলা হয় একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive Economic Zones)
মহীঢাল
* সমুদ্রে মহীঢালের গভীরতা ⇨ ২০০ মিটার থেকে ৩০০০ মিটার
* মহীঢালের গড় প্রশস্ততা ⇨ প্রায় ১৫ থেকে ৩২ কিলোমিটার
গভীর সমুদ্রের সমভূমি
* গভীর সমুদ্রের সমভূমি এর গড় গভীরতা ⇨ ৫০০০ মিটার
গভীর সমুদ্রখাত
* গভীর সমুদ্রখাতের গভীরতা ⇨ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৪০০ মিটারের অধিক
* গভীর সমুদ্রখাতের মধ্যে–
⇨ মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরতা ⇨ ১০৮৭০ মিটার/১১০৩৩ মিটার বা ৩৫৪০০ ফুট/ ৩৬১৯৯ ফুট
⇨ পোর্টোরিকো খাতের গভীরতা ⇨ ৮৫৩৮ মিটার
সমুদ্রস্রোত
⇨ সমুদ্রের পৃষ্ঠে সমুদ্রস্রোতের গতি সবচেয়ে বেশি।
⇨ সমুদ্রের ১০০ মিটার নিচ থেকে সমুদ্রস্রোতের গতি কমতে থাকে।
হিমশৈল
* হিমশৈলের মাত্র ১/৯ অংশ অর্থাৎ ৯ ভাগের ১ ভাগ অংশ সমুদ্রে ভেসে থাকে।
জোয়ার–ভাটা
⇨ সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়।
⇨ উপকূলে কোন একটি স্থানে পর পর দুটি জোয়ার বা পর পর দুটি ভাটার মধ্যে ব্যবধান ১২ ঘণ্টা।
⇨ জোয়ারের প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ভাটা হয়।
⇨ জোয়ার উৎপাদনে সূর্যের ক্ষমতা চন্দ্রের ৪/৯ ভাগ ( ৯ ভাগের ৪ ভাগ)
⇨ একমাসে ২ বার তেজ কটাল এবং দুইবার মরা কটাল হয়ে থাকে।
গ্রেট লেকস
* যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থিত ৫ টি লেককে একত্রে গ্রেট লেকস বলা হয় (সুপিরিয়র, হুরন, মিসিসিপি, অন্টারিও, ইরি)
মৃত সাগর
⇨ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মৃত সাগরের স্থলভাগ ৪২০ মিটার নিচে অবস্থিত যা পৃথিবীর নিম্নতম স্থলভূমি।
খাল
* গ্রান্ড খালের দৈর্ঘ্য ⇨ ১৭৯৪ কিলোমিটার
* সুয়েজ খালের দৈর্ঘ্য ⇨ ১৯৩ কিলোমিটার
* গোটা খসলের দৈর্ঘ্য ⇨ ১৯০ কিলোমিটার
* কিয়েল খালের দৈর্ঘ্য ⇨ ৯৮ কিলোমিটার
* পানামা খালের দৈর্ঘ্য ⇨ ৭৭ কিলোমিটার
সুয়েজ খাল
* সুয়েজ খাল খননের ফলে এশিয়ার সাথে ইউরোপের জলপথে দূরত্ব প্রায় ৭০০০ কিলোমিটার কমে আসে।
পানামা খাল
* পানামা খাল খননের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব থেকে পশ্চিম উপকূলের দূরত্ব প্রায় ১৫০০০ কিলোমিটার বা ৮ হাজার নটিক্যাল মাইল কমে আসে।
আন্তর্জাতিক নদ-নদ
* নীল নদের দৈর্ঘ্য ⇨ ৬৬৯০ কিলোমিটার
* নীল নদ আফ্রিকার মোট ১১ টি দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ( রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, মিশর)
আমাজন নদী
* আমাজন নদীর দৈর্ঘ্য ⇨ ৬৩৮৭ কিলোমিটার
* আমাজন নদী ৬টি দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ( পেরু, বলিভিয়া, ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া, ইকুয়েতর, ব্রাজিল)
* আমাজন নদীতে প্রতি সেকেন্ডে ২০৯০০০ ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হয়।
ইয়াংসিকিয়াং নদী
* ইয়াংসিকিয়াং নদীর দৈর্ঘ্য ⇨ ৬৩৮০ কিলোমিটার
মিসিসিপি-মিসোরি নদী
মিসিসিপি-মিসোরি নদীর একত্রে দৈর্ঘ্য ⇨ ৬২৭৫ কিমি/ ৬০৯৫ কিমি/ ৫৯৭০ কিমি
মারি নদী
মারি নদীর দৈর্ঘ্য ⇨ ৩৭৫০ কিলোমিটার
টাইগ্রিস নদী
টাইগ্রিস নদীর দৈর্ঘ্য ⇨ ১৮৫০ কিলোমিটার/ ১১৫০ মাইল
ইউফ্রেটিস নদী
ইউফ্রেটিস নদীর দৈর্ঘ্য ⇨ ২৮০০ কিলোমিটার/ ১৭৪০ মাইল
দানিউব নদী
দানিউব নদীর দৈর্ঘ্য ⇨ ২৮৫০ কিলোমিটার
জর্ডান নদী
মৃত সাগরের ৯৫ শতাংশ পানি আসে জর্ডান নদী থেকে।
বাংলাদেশের নদ-নদী
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট নদীর সংখ্যা ⇨ ৪০৫ টি
বাংলাপিডিয়া অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট নদীর সংখ্যা ⇨ ৭০০ টি
মাধ্যমিক ভূগোল বই অনুযায়ী, উপনদী, শাখানদীসহ বাংলাদেশের নদীর দৈর্ঘ্য ⇨ ২২,১৫৫ কিলোমিটার
বাংলাপিডিয়া অনুযায়ী, উপনদী, শাখানদীসহ বাংলাদেশের নদীর দৈর্ঘ্য ⇨ ২৪,১৪০ কিলোমিটার
বাংলাপিডিয়া অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মোট আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ⇨ ৫৮ টি
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মোট আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ⇨ ৫৭ টি
বাংলাপিডিয়া অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ⇨ ৫৫ টি
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ⇨ ৫৪ টি
মিয়ানমার-বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা ⇨ ৩ টি (সাঙ্গু, মাতামুহুরী, নাফ নদী)
বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশকারী নদী ⇨ ১ টি (কুলিখ)
বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী ⇨ ৩ টি (আত্রাই, পুনর্ভবা, ট্যাঙ্গন নদী)
মেঘনা নদীতে প্রতি সেকেন্ডে ৩৮১২৯ ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হয়।
পদ্মা নদী
পদ্মা ১২০ কিমি দীর্ঘ এবং ৪ থেকে ৮ কিমি প্রশস্ত।
হাওড়
বাংলাদেশে ৩৭৩ টি হাওড় রয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭ টি জেলায় হাওড়গুলো রয়েছে।
ব-দ্বীপ
পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ 'গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা' ব-দ্বীপের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৪৬,৬২০ বর্গকিলোমিটার যা সমগ্র দেশের প্রায় ৩২ শতাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত।
কৃষিজ সম্পদ
বাংলাদেশের চাষীদের ৫ শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১) ভূমিহীন চাষী (০.০–০.০৪৯ একর)
২) প্রান্তিক চাষী (০.০৫–১.৪৯ একর)
৩) ক্ষুদ্র চাষী (১.৫০–২.৪৯ একর)
৪) মাঝারী চাষী (২.৫–৭.৪৯ একর)
৫) বড় চাষী (৭.৫০ একর বা তার বেশী)
ভূমি মন্ত্রণালয়
* বাংলাদেশ সরকার ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির খাজনা মওকুফ করে দিয়েছে।
* পরিবারপ্রতি সর্বোচ্চ জমির পরিমাণ ১০০ বিঘা
সার
* ইউরিয়া সারে নাইট্রোজেন এর পরিমাণ ⇨ ৪৬%/ ৪৪-৪৬%
* ডিএপি তে নাইট্রোজেন এর পরিমাণ ⇨ ১৮%
* অ্যামোনিয়াম সালফেট এ নাইট্রোজেন এর পরিমাণ ⇨ ২১%
* টিএসপিতে ফসফরাস এর পরিমাণ ⇨ ২০%
* এসএসপি তে ফসফরাস এর পরিমাণ ⇨ ৮%
* ডিএপিতে ফসফরাস এর পরিমাণ ⇨ ২০%
* মিউরেট অব পটাশ এ পটাসিয়াম এর পরিমাণ ⇨ ৫০%
* পটাসিয়াম সালফেট এ পটাসিয়াম এর পরিমাণ ⇨ ৪৬%
* জিপসাম এ ক্যালসুয়াম এর পরিমাণ ⇨ ৩৩%
* জিপসাম এ সালফারের পরিমাণ ⇨ ১৮%
খাদ্যশস্য
বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়।
অর্থকরী ফসল
পাট
* একটি কাঁচা পাটের গাঁইটের ওজন ৪.৫ মণ।
চা
* চা চাষের জন্য আবাদি এলাকায় ৪০ শতাংশ ছায়ার প্রয়োজন হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
* ৪.৫ সেমির কম ফাঁসবিশিষ্ট কারেন্ট জাল বা মশারি দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
* মাছ চাষের উদ্দেশ্য ছাড়া জুলা-ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩ সেমি কম দৈর্ঘ্যের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ ও ঘনিয়া ধরা নিষিদ্ধ।
* মাছ চাষের উদ্দেশ্য ছাড়া নভেম্বর থেকে এপ্রিল জাটকাও পাঙ্গাশ ধরা নিষিদ্ধ।
* মাছ চাষের উদ্দেশ্য ছাড়া ফেব্টুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩০ সেমি কম দৈর্ঘ্যের শিলং ও আইড় ধরা নিষিদ্ধ।
* বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫ টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে । যথা-
১) স্বাদুপানি কেন্দ্র, ময়মনসিংহ
২) নদীকেন্দ্র, চাঁদপুর
৩) লোনাপানি কেন্দ্র, পাইকছড়া, খুলনা
৪) সামুদ্রিক মৎস্য প্রযুক্তি কেন্দ্র, কক্সবাজার
৫) চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র, বাগেরহাট
ছাগল
বাংলাদেশে মোট ছাগলের ৯০% ছাগল হছে কালো ছাগল।
খনিজ সম্পদ
* প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ⇨ ৮০-৯০%
* প্রাকৃতিক গ্যাসে ইথেনের পরিমাণ ⇨ প্রায় ১৩%
* প্রাকৃতিক গ্যাসে প্রোপেনের পরিমাণ ⇨ প্রায় ৩%
* আমাদের দেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ⇨ ৯৫-৯৯%
* বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৭ টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।
* গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে সরকার ১৯৮৯ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে ২৩ টি ব্লকে বিভক্ত করে। সমুদ্র এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য উক্ত এলাকেকে ২৮ টি নতুন ব্লকে বিভক্ত করে।
হরিপুর তেলক্ষেত্র
* হরিপুর তেলক্ষেত্র থেকে দৈনিক ১০০ থেকে ৩০০ ব্যারেল অপরিশোধ খনিজ তেল উত্তোলিত হতো। বর্তমানে এটি স্থগিত রয়েছে।
বরমচাল তেলক্ষেত্রঃ
* বরমচাল তেলক্ষেত্র থেকে দৈনিক ১২০০ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হচ্ছে।
* দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিটির বিস্তৃতি প্রায় ৫.২৫ বর্গ কিমি।
* মধ্যপাড়া ভূ-গর্ভস্থ কঠিন শিলা প্রকল্পটি প্রায় ১.৪৪ বর্গ কিমি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
শক্তি সম্পদ
বাংলাদেশে ৫ টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বা কোমৃপানি আচে। যথাঃ
১। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
২। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড
৩। DESCO
৪। DPDC
৫। WZPDCL
রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট
* মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ১২০০ মেগাওয়াট
* কাপ্তাই বাধের দৈর্ঘ্য ৬৭০ মিটার।
* কাপ্তাই বা্ধটি ৪৫.৭ মিটার উঁচু যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৬ মিটার উচ্চতার সমান।
* কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ২৩০ মেগাওয়াট
* রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ২৪০০ মেগাওয়াট
* রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদকাল ৬০ বছর
শিল্প সম্পদ
* সার কারখানার সংখ্যা ⇨ ৮ টি
* চিনিকলের সংখ্যা ⇨ ১৫ টি
* শাহজালাল ফার্টিলাইজার কো. লি. এর বার্ষিক সার উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ৫ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন
* যমুনা সার কারকানার বার্ষিক সার উৎপাদন ক্ষমতা ⇨ ৫ লক্ষ ৬১ হাজার মেট্রিক টন
Comments