চর্যাপদের প্রধান সমালোচকগণ
মহামোহপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
⇨ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী 'চর্যাপদ' গ্রন্থটিকে সম্পূর্ণ প্রাচীন বাংলার নিদর্শন বলে দাবি করেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কারক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ তার এ দাবিকে সমর্থন করেন।
⇨ সন্ধ্যা ভাষা সম্পর্কে মহামোহপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেন 'আলো-আঁধারির ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না।'
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার History of the Bengali Language গ্রন্থে চর্যাগীতির ভাষাকে প্রাচীন বাংলা বলতে অস্বীকার করেন।
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Origin and Development of the Bengali Language গ্রন্থে চর্যাগান ও দোহাগুলির ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও চন্দ এবং চর্যার কবিদের নাম, পদ্মা নদীর নামের উল্লেখ (ভুসুকুপার ৪৯ নং পদে 'পউয়া খাল') বিশ্লেষণ করে এর ভাষাকে প্রাচীন বাংলার আদি নিদর্শন হিসেবে গ্রহণ করেন।
ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
১৯২৭ সালে ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্যারিস থেকে প্রকাশিত 'Les Chants Mystique de Sarah et de Kanha' গ্রন্থে চর্যাপদ সম্পর্কে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতকে সনর্থন করেন। তার মতে, এর ভাষার নাম 'বঙ্গকামরূপী'।
Comments