বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বাংলাদেশর বিচার বিভাগ

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ⇨ ২ শ্রেণীতে বিভক্ত 
১। উচ্চতর বিচার বিভাগ (সুপ্রিম কোর্ট)
২। অধস্তন বিচার বিভাগ (নিম্ন আদালতসমূহ)

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ⇨ সুপ্রীম কোর্ট
সুপ্রীম কোর্টের ডিভিশন ⇨ ২ টি
১। আপিল বিভাগ 
২। হাইকোর্ট বিভাগ

অধস্তন আদালত
সুপ্রিম কোর্টে অধীনের প্রতিটি জেলায় অধস্তন আদালত রয়েছে।
জেলা আদালতগুলো দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করে

ফৌজদারি আদালত
ফৌজদারি মামলা বলতে সাধারণত অপরাধ সংক্রান্ত মামলাকে বোঝানো হয়।
ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি আদালতের সংখ্যা ⇨ ৫ টি
বাংলাদেশে ফৌজদারি আদালতের সংখ্যা ⇨ ২ টি
১। দায়রা জজ আদালত
২। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

দায়রা জজ আদালত
প্রতিটি জেলায় একটি দায়রা আদালত গঠনের বিধান রয়েছে।
দায়রা জজ আদালত তিন ধরনের বিচারক দ্বারা পরিচালিত হয়। যথাঃ
১। দায়রা জজ
২। অতিরিক্ত দায়রা জজ
৩। যুগ্ম দায়রা জজ

জেলা পর্যায়ে তিন ধরণের দায়রা জজ আদালত রয়েছে।
১। দায়রা জজ আদালত
২। অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত
৩। যুগ্ম দায়রা জজ আদালত

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার এখতিয়ার ⇨ হাইকোর্ট বিভাগের
তিন পার্বত্য জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত চালু করা হয়েছে ⇨ ২০০৮ সালের ১ জুলাই

ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
জেলা পর্যায়ে ৪ ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রয়েছে।
১। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
২। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
৩। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
৪। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রয়েছে।
১। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
২। অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
৩। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

ম্যাজিস্ট্রেট
ম্যাজিস্ট্রেট প্রধানত দুই ধরনের।
১। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
২। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ ধরনের। যথাঃ
১। মেট্রোপলিটন ও অন্যান্য এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট
২। প্রথম শ্রেশির ম্যাজিস্ট্রেট ( মেট্রোপলিটন এলাকায় মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট)
৩। দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট
৪। তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট

মেট্রোপলিটন এলাকায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ ধরনের। যথাঃ
১। মুখ্য মহানগর হাকিম
২। অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম

মেট্রোপলিটন ব্যতীত অন্যান্য এলাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ ধরনের। যথাঃ
১। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
২। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮
দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮, যা সকল দেওয়ানী বা সিভিল মোকদ্দমা পরিচালনার প্রক্রিয়া সম্বন্ধে আলোচনা করে থাকে। যেকোনো ধরনের সিভিল বা দেওয়ানী আইন বলে আপনি কোন অধিকার পেয়ে থাকলে সেটি কিভাবে আদায় করবেন বা রক্ষা করবেন বা দাবী করবেন সেটি বলা আছে দেওয়ানী কার্যবিধিতে। দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ সালের ৫ নং আইন। দেওয়ানী কার্যবিধি প্রণয়ন করা হয় ১৯০৮ সালে; কিন্তু এটি কার্যকর করা হয় ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে। আবার, দেওয়ানী কার্যবিধি সর্বপ্রথম বিধিবদ্ধ হয় ১৮৫৯ সালে। দেওয়ানী কার্যবিধি সর্বশেষ সংশোধনী হয় ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ সালে।

দেওয়ানী কার্যবিধি ধারা
দেওয়ানী কার্যবিধিতে মোট ধারা ১৫৮টি। দেওয়ানী কার্যবিধির ধারাসমূহ শুধুমাত্র জাতীয় সংসদ সংশোধন করতে পারে।
দেওয়ানী কার্যবিধিতে মোট অর্ডার বা আদেশ ৫১টি।
দেওয়ানী কার্যবিধি একটি পদ্ধতিগত আইন বা ইংরেজিতে যাকে বলে Procedural Law বা Adjective law
দেওয়ানী কার্যবিধিতে মোট ৫টি তফসিল তবে বর্তমানে বলবৎ আছে ৩ টি।
প্রথম তফসিলে আদেশ ও বিধিসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে মোট ৫১টি আদেশ আছে। প্রত্যেক আদেশের অধীন বহু বিধি রয়েছে। দেওয়ানী কার্যবিধির প্রথম তফসিলে উল্লেখিত আদেশ এবং বিধিসমূহ সংসদ এবং সুপ্রীম কোর্ট উভয় সংশোধন করতে পারে। তৃতীয় তফসিলে কালেক্টর কর্তৃক ডিক্রি জারি নিয়ে বলা হয়েছে।

দেওয়ানি আদালত (Civil Court)
দেওয়ানি মামলার অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহঃ
⇨ জমি-জমা সংক্রান্ত মামলা
⇨ ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়
⇨ ঋণচুক্তি সংক্রান্ত বিষয়
⇨ অধিকার সম্পর্কিত বিষয়
দেয়ানি আদালত প্রতিষ্ঠিত হয় ⇨ The Civil Courts Act, 1887 অনুযায়ী।

দেওয়ানি আদালত ৫ শ্রেণিতে বিভক্তঃ
১। জেলা জজ আদালত
২। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত
৩। যুগ্ম জেলা জজ আদালত
৪। সিনিয়র সহকারি জজ আদালত
৫। সহকারি জজ আদালত

প্রতিটি জেলার বিচার বিভাগের প্রধান ⇨ জেলা জজ
জেলা জজ যখন ফৌজদারি মামলার বিচার করেন তখন তাঁকে সেশন জজ বা দায়রা জজ বলে।

পারিবারিক আদালত
পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠিত হয় ⇨ পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ এর মাধ্যমে
পারিবারিক আদালত ৫ টি বিষয়ে বিচারকার্য সম্পন্ন করেঃ
১। বিবাহ বিচ্ছেদ
২। দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধার
৩। বিবাহের মোহরান সংক্রান্ত বিষয়
৪। ভরণপোষণ
৫। অভিভাবকত্ব

দেউলিয়া আদালত
দেওলিয়া আদালত প্রতিষ্ঠিত হয় ⇨ দেউলিয়া আইন, ১৯৯৭ অনুযায়ী


নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ
পাকিস্তানে বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে পৃথক করা হয় ⇨ ১৯৭৩ সালে
ভারতে বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে পৃথক করা হয় ⇨ ১৯৭৪ সালে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে পৃথক করা হয় ⇨ ১৯৭০ সালে
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮৭ সালে ও ১৯৯১ সালে দুবার বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

২০০৭ সালের ১ নভেম্বর সাংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাহূ বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সম্পন্ন হয়।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উপায়সমূহঃ
⇨ বিচারকদের যোগ্যতা
⇨ বিচারকদের নিয়োগ পদ্ধতি
⇨ বিচারকগণের কার্যকাল
⇨ বিচারকগণের অপসারণের জন্য বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করা
⇨ বিচারকদের উপযুক্ত বেতন-ভাতাদি ও সামাজিক মর্যাদা 

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল
১৯৪৭ সালের ক্রাউন প্রসিডিংস অ্যাক্টের মাধ্যমে ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৭ নং অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিধান সংযুক্ত করা হয়।
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, ১৯৮০ এর ৩ ধারা অনুযায়ী সরকার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে।
ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে ১৯৮১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এক সদস্য বিশিষ্ট।
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে নিয়োগলাভের যোগ্য ব্যক্তি ⇨ জেলা জজ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বা আছেন এমন ব্যক্তি 
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুবাল কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে ⇨ প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে
প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্র্যাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে ⇨ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে
প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সদস্য সংখ্যা ⇨ ৩ জন (১ জন চেয়ারম্যান ও ২ জন সদস্য)
বর্তমান বাংলাদেশে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা ⇨ ২ টি (ঢাকা ও বগুড়া)
প্রশাসনিক অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা ⇨ ১ টি (ঢাকায়)
বগুড়া প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের আওতাধীন জেলা ⇨ ২৩ টি (বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার ৩ টি, বৃহত্তর যশোর জেলার ৪ টি এবং রাজশাহী বিভাগের ১৬ টি জেলা)
ঢাকা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের আওতাধীন জেলা ⇨ ৪১ টি
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে-
⇨ সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি, বরখাস্ত বা অপসারণ,  দণ্ড, জরিমানা,  পদাবনতি এবং কর্মের মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়াদি
⇨ যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা এবং কোনো সরকারি সম্পত্তি অর্জন, প্রশাসন ব্যবস্থাপনা ও বণ্টন ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়াদি
⇨ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ৪৭ নং অনুছেদে বর্ণিত যে সকল বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশ জারির ক্ষমতা নেই, সেই সকল বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার থাকবে

Police Bureau of Investigation- PBI
PBI হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত দল বা সংস্থা
গুরুত্বপূর্ণ মামলা বিশেষ করে ফৌজদারি মামলার তদন্তে গতি ও স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালের পুলিশ অ্যাক্টের কয়েকটি ধারার ক্ষমতাবলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে  PBI গঠিত হয়।
পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু করে ⇨ ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর
PBI মামলার তদন্ত শুরু করে ⇨ ২০১৫ সালের ১৩ জুন থেকে
পিবিআই সম্পর্কিত বিধিমালা অনুমোদিত হয় ⇨ ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের FBI এবং ভারতের CBI এর আদলে PBI গঠিত হয়
সারাদেশে বর্তমানে PBI এর ৫০ টির মতো ইউনিট আছে

ফৌজদারি কার্যবিধিতে বিচার ব্যবস্থায় হাইকোর্ট বিভাগের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা বিদ্যমান রয়েছে।
ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য সরকার পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ করে থাকে।
ফৌজদারি কার্যবিধিতে ফৌজদারি মামলার চার্জ গঠনের দায়িত্ব ⇨ আদালতের

ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহঃ
⇨ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ নং ধারা অনুযায়ী পুলিশ আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেটের গ্রেফতারী পরোয়ানা আদেশ ব্যতীত ৯ টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে।
⇨ ৬১ নং ধারা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘণ্টার বেশি আটক রাখা যাবে না।
⇨ ১৫৪ নং ধারা অনুযায়ী স্থানীয় থানায় এজহার (First Information Report-FIR) রেকর্ড করা হয়
⇨ ১৬৭ নং ধারা অনুযায়ী পুলিশ রিমান্ড চাইতে পারে
⇨ ১৭৩ ধারা অনুযায়ী পুলিশ অফিসার আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট/ চার্জশীট দাখিল করে।
⇨ ২০৪ ধারা অনুযায়ী আসামীকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যের বিচারক ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) জারি করে 
⇨ ৪৯১ নং ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগ হেবিয়াস কর্পাস সংক্রান্ত মামলা জারি করে পারে

ফৌজদারি মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া
⇨ কোনো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪ অধ্যায়ের অধীনে মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করার পর, কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এবং তাদের সকলকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ নং ধারা অনুযায়ী পলাতক ব্যক্তির তালিকাসহ বিপি ফরম নং ৩৯ এ চার্জশিট দাখিল করেন।
⇨ মামলার ডকেটসহ চার্জশিট আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর বিচারকার্য শুরু হয়ে থাকে।
⇨ মামলার কোনো আসামী গ্রেপ্তার না হয়ে থাকলে,  ফৌজদারী কার্যবিধির ৭৫ নং ধারা অনুযায়ী ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদন করা হলে আদালত পলাতক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।
⇨ ফৌজদারি কার্যবিধির ৭৭ নং ধারা অনুযায়ী ওয়ারেন্ট তামিল করার জন্য সাধারণত এক বা একাধিক পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
⇨ তবে ওয়ারেন্ট অবিলম্বে কার্যকরী করার প্রয়োজন হলে এবং অবিলম্বে পুলিশ অফিসার পাওয়া না গেলে ওয়ারেন্ট প্রদানকারী আদালত এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নিদ্রেশ দিতে পারে।

Comments