বাচ্য

 কর্তৃবাচ্য
যে বাক্যে কর্তার অর্থ প্রাধান্য বিদ্যমান থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয় তাকে কর্তৃবাচ্যের বাক্য বলে।

বৈশিষ্ট্যঃ
⇨ ক্রিয়াপদ সর্বদাই কর্তার অনুসারী হয়।
⇨ ক্রিয়া সকর্মক ও অকর্মক দুই-ই হতে পারে।
⇨ কর্তায় প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি এবং কর্মে দ্বিতীয়া ষ্ঠী বা শূন্য বিভক্তি হয়।

উদাহরণঃ
*  শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান।
* আমি ভাত খেয়েছি।
*  আমি বই পড়ছি।
* রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি রচনা করেছেন।
* নজরুল অগ্নিবীণা লিখেছেন।
* আমি ফুল তুলিয়াছি।
* তুমি আমাকে শান্তি দিলে না
* আমি আর গেলাম না
* তোমরা কখন এলে?
* এবার তাহলে আসি।
* তুমি হা্টবে।
* কোথায় থাক?
* একটি গান করো।


কর্মবাচ্য
যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয় তাকে কর্মবাচ্য বলে।

বৈশিষ্ট্যঃ
⇨ এ বাচ্য কেবল সকর্মক ক্রিয়া হতে গঠিত হয়।
⇨ এ বাচ্যে ক্রিয়াপদ কর্মের অনুসারী হয়।
⇨ এ বাচ্যে কর্মে প্রথমা, কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি ও দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক অনুসর্গ ব্যবহার হয়।

উদাহরণঃ
⇨ আমার ভাত খাওয়া হয়েছে।
⇨ আমার বই পড়া হয়েছে।
⇨ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক গীতাঞ্জলি রচিত হয়েছে।
⇨ নজরুল কর্তৃক অগ্নিবীণা লিখিত হয়েছে।
⇨ আমা দ্বারা ফুল তোলা হয়েছে।
⇨ তোমা হতে আমার শাতি আসলো না।
⇨ আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য দেশ বিজিত হয়।

ভাববাচ্য
যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাববাচ্য।

বৈশিষ্ট্যঃ
⇨ এ বাচ্যের ক্রিয়া সর্বদাই নাম পুরুষের হয়।
⇨ এ বাচ্য কেবল অকর্মক ক্রিয়া হতে গঠিত হয়।
⇨ এ বাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া বা তৃতীয়া বিভক্তি প্রযুক্ত হয়।

উদাহরণঃ
⇨ তোমাকে হাঁটতে হবে।
⇨ কোথায় থাকা হয়?
⇨ একটি গান করা হউক।
⇨ আমার আর যাওয়া হলো না
⇨ তোমাদের কখন আসা হল?
⇨ এবার তাহলে আসা যাক।

কর্মকর্তৃবাচ্য
যে বাচ্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে,  তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।

উদাহরণঃ
⇨ বাঁশি বাজে ঐ মধুর লগনে।
⇨ তোমাকে রোগা দেখাচ্ছে।
⇨ চাঁদ দেখা যাচ্ছে।

Comments