পরিসংখ্যানগত তথ্য (পদার্থবিজ্ঞান)
বলবিদ্যা
* ১ নিউটন ⇨ ১০৫ ডাইন* মহাকর্ষীয় ধ্রুবক G এর মান = 6.673×10-11 Nm2Kg-2
* অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর মান ⇨ 9.8 ms-2
* 45° অক্ষাংশে সমুদ্র সমতলে g এর মান আদর্শ ধরা হয়।
* মহাবিশ্বের সব জায়গায় বস্তুর ভর সমান। যেমন, পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো বস্তুর ভর ৪৯ কেজি হলে চন্দ্রপৃষ্ঠে ঐ বস্তুটির ভর হবে ৪৯ কেজি। আবার পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো বস্তুর ভর ৫০ কেজি হলে ভূ-কেন্দ্রে ঐ বস্তুটির ভর হবে ৫০ কেজি।
* চাঁদে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের মানের ৬ ভাগের এক ভাগ। এজন্য চাঁদে কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীতে ঐ বস্তুর ওজনের ৬ ভাগের এক ভাগ।
* মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান সর্বোচ্চ
* নিরক্ষীয় অঞ্চলে/বিষুবীয় অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান সর্বনিম্ন
* চন্দ্রপৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের মানের ৬ ভাগের পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উপরে বা অভ্যন্তরে অভিকরৃষজ ত্বরণের মান হ্রাস পায়
* পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য।
কাজ, ক্ষমতা ও শক্তি
* ১ জুল ⇨ ১০৭ আর্গ
* ১ অশ্ব ক্ষমতা = ৭৪৬ ওয়াট = ০.৭৪৬ কিলোওয়াট
* কোনো যন্ত্রের কর্মদক্ষতা ৯০% বলতে বোঝায়, ঐ যন্ত্রটিতে ১০০J শক্তি দেওয়া হলে যন্ত্রটি থেকে ৯০J কার্যকর শক্তি পাওয়া যায়।
* ১ বায়ুমন্ডলীয় চাপ (১ atm) = 101325 প্যাসকেল
চৌম্বকবিদ্যা
* ভূ-চুম্বকের উত্তর মেরু ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু হতে ২২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া অঞ্চলে এবং ভূ-চুম্বকের দক্ষিণ মেরু ভৌগোলিক উত্তর মেরু হতেব২৫০০ কিলোমিটার দূরে কানাডার বুথিয়া উপদ্বীপে অবস্থিত।
* লোহার কুরি বিন্দু ⇨ ৭৭০°C
শব্দ ও তরঙ্গ
শব্দের তীক্ষ্মতা
* শব্দের তীক্ষ্মতা ৮৫ ডেসিবেলের বেশি হলে তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
* ১২০-১৪০ ডেসিবেল শব্দ কানে ব্যথা ও সমপূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
শব্দের দ্রুতি
* 0°C তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক বায়ুমন্ডলীয় চাপে লোহার মধ্য দিয়ে শব্দের দ্রুতি ⇨ ৫২২১ মি/সে বা ৭৫৭ মাইল/ঘণ্টা
* 0°C তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক বায়ুমন্ডলীয় চাপে পানিতে শব্দের দ্রুতি ⇨ ১৪৫০ মি/সে
* 0°C তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক বায়ুমন্ডলীয় চাপে শুষ্ক বায়ুতে শব্দের দ্রুতি ⇨ ৩৩২ মি/সে
* লোহার মধ্যে শব্দ বাতাসের চেয়ে ১৫ গুণ দ্রুত চলে।
* পানির মধ্যে শব্দ বাতাসের চেয়ে চারগুণ দ্রুত চলে।
* ১° সে. বা ১° কেলভিন তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বাতাসে শব্দের বেগ প্রায় ০.৬ মি/সে বৃদ্ধি পায়।
প্রতিধ্বনি
* কোনো শব্দ শোনার পর প্রায় ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মস্তিস্কে থাকে।
* শব্দের পৃরতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যবর্তী দূরত্ব নূন্যতম ১৬.৬ মিটার হওয়া প্রয়োজন।
শ্রাব্যতার পাল্লা এবং শব্দোত্তর ও শব্দেতর তরঙ্গ
* মানুষের শ্রাব্যতার পাল্লা ⇨ ২০ Hz থেকে ২০০০০ Hz
* কুকুরের শ্রাব্যতার ঊর্ধ্বসীমা ⇨ প্রায় ৩৫,০০০ Hz
* বাদুড়ের শ্রাব্যতার ঊর্ধ্বসীমা ⇨ প্রায় ১,০০০০০ Hz
* যে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ২০ Hz এর কম তাকে শব্দেতর তরঙ্গ বা ইনফ্রাসনিক তরঙ্গ বলে।
যে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ২০,০০০ Hz এর বেশি তাকে শব্দোত্তর তরঙ্গ বা আল্ট্রাসনিক তরঙ্গ বলে।
তাপ ও তাপগতিবিদ্যা
* ১ ক্যালরি ⇨ ৪.২ জুল
* সেলসিয়াস স্কেলে বরফের গলনাঙ্ক ⇨ ০° C
* সেলসিয়াস স্কেলে পানির স্ফুটনাঙ্ক ⇨ ১০০° C
* কেলভিন স্কেলে বরফের গলনাঙ্ক ⇨ ২৭৩° C
* কেলভিন স্কেলে পানির স্ফুটনাঙ্ক ⇨ ৩৭৩° C
* ফারেনহাইট স্কেলে বরফের গলনাঙ্ক ⇨ ৩২° C
* ফারেনহাইট স্কেলে পানির স্ফুটনাঙ্ক ⇨ ২১২° C
* ৪০°C তাপমাত্রায় ফারেনহাইট ও সেলসিয়াস স্কেলে সমান তাপমাত্রা নির্দেশ করে।
পরম শূন্য তাপমাত্রা
* সেলসিয়াস স্কেলে পরম শূন্য তাপমাত্রা ⇨ -২৭৩° C
* কোলভিন স্কেলে পরম শান্য তাপমাত্রা ⇨ ০° K
* ফারেনহাইট স্কেলে পরম শূন্য তাপমাত্রা ⇨ -৪৫৯.৪° F
প্রমাণ তাপমাত্রা
* ০°C তাপমাত্রা বা ২৭৩ K তাপমাত্রাকে প্রমাণ তাপমাত্রা বলে।
প্রমাণ চাপ
* ৭৬৯ মিলিমিটার বা ৭৬ সেন্টিমিটার পারদ চাপকে প্রমাণ চাপ বলে।
ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার
* ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারে = ৯৫-১১০° F পর্যন্ত দাগ কা্টা থাকে।
* মানবদেহের স্বাভাবিক উষ্ণতা = ৯৮.৪° F বা ৩৬.৯° C
পানির ব্যতিক্রমী প্রসারণ
* ০°C তাপমাত্রার পানিকে উত্তপ্ত করলে এর আয়তন বাড়ে না বরং কমে। ৪°C পর্যন্ত এরূপ ঘটে। ৪° C তাপমাত্রার পানিকে গরম বা ঠাণ্ডা যাই করা হোক না কেন তা প্রসারিত হবে। ৪° সেলসিয়াস উষ্ণতায় পানির ঘনত্ব তাই সবচেয়ে বেশি।
* স্বাভাবিক বায়ুমন্ডলীয় চাপে পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০° সে। কিন্তু বায়ুর চাপ কম থাকায় এবারেস্ট পর্বতের উপর পানি ৭০° সেলসিয়াস উষ্ণতায় ফুটতে থাকে।
* সমুদ্রতলে এবং ভূ-পৃষ্ঠ হতে ২ মাইল উঁচুতে বায়ুতে অক্সিজেনের শতকরা সংযুক্তি প্রায় সমান (২১%)। কিন্তু ভূ-পৃষ্ঠ হতে ২ মাইল উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলীয় চাপ সমুদ্রতলের বাশুমণ্ডলীয় চাপ অপেক্ষা ৩০% কম।
আপেক্ষিক তাপ
* পানির আপেক্ষিক তাপ ⇨ ৪২০০ JKg-1K-1 বা ৪.২ Jg-1°C-1
* দুধের আপেক্ষিক তাপ ⇨ ৩৯৩০ JKg-1K-1
তাপ ইঞ্জিন
* পেট্টোল ইঞ্জিনের দক্ষতা প্রায় ⇨ ৩০%
আলো
আলো
আলোর গতি = ৩×১০৬ (৩ লক্ষ)কি.মি/সে. = ৩×১০৮ মি/সে = ৩×১০১০ সেমি/সে = ১,৮৬,০০০ মাইল/সে
আলোকবর্ষ
* এক আলোকবর্ষ = ৯.৪৬১×১০১২ কিমি = ৫.৮৭৯×১০১২ মাইল
* ১ পারসেক = ৩.২ আলোকবর্ষ
আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব
* প্লাঙ্ক ধ্রুবক এর মান = ৬.৬৫×১০-২৭ আর্গ-সেকেন্ড
তাড়িত চৌম্বক বর্ণালী
* দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য = ৪০০-৭০০ ন্যানোমিটার বা ৪×১০-৭ মিটার থেকে ৭×১০-৭ মিটার
আলোর ক্রান্তি কোণ
আলোর ক্রান্তি কোণের মান ⇨ ৯০°
মানুষের চোখ
* মানুষের চোখের দর্নানুভূতির স্থায়িত্বকাল ⇨ ০.১ সেকেন্ড
* স্বাভাবিক চোখের দৃষ্টির পাল্লা ⇨ ২৫ সেমি থেকে অসীম পর্যন্ত
তড়িৎ
তড়িচ্চালক শক্তি
* আমাদের বাসা-বাড়িতে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ভোল্টেজ ⇨ ২২০ ভোল্ট এ.সি
তড়িৎ ক্ষমতা
* ১ কিলোওয়াট ⇨ ১০৩ ভোল্ট
* ১ মেগাওয়াট ⇨ ১০৬ ওয়াট
তড়িৎ শক্তি
* ১ B.O.T বা ১ ইউনিট বিদ্যুৎ = ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা = ৩৬০০ কিলোজুল = ৩.৬×১০৬ জুল
ফিউজ
ফিউজের উপাদান ⇨ ২৫% টিন ও ৭৫% সীসার মিশ্রণ
ইলেক্ট্রনিক্স
অ্যামপ্লিফায়ার
* এ শ্রেণী অ্যামপ্লিফায়ারের কর্মদক্ষতা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৯০%
দৈনন্দিন জীবনে পদার্থবিজ্ঞান
* বৈদ্যুতিক বাতিতে ফিলামেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত ট্যাংস্টেন এর গলনাঙ্ক ⇨ প্রায় ৩৪১০° সে.
* নাইক্রোমে নিকেল-৬০% + আয়রন-২৫% + ক্রোমিয়াম-১৫% বিদ্যম
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান
তেজস্ক্রিয় মৌলের অর্ধায়ু
* ইউরেনিয়াম-২৩৮ এর গড় আয়ু ⇨ ৪৫০ কোটি বছর
* কার্বন-১৪ এর অর্ধায়ু ⇨ ৫৫৬৮ বছর
বায়োগ্যাস
* বায়োগ্যাসে গোবর ও পানির অনুপাত ⇨ ১ঃ২
* বসয়োগ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ⇨ ৬০-৭০%
কয়লা
* লিগনাইটে কার্বনের পরিমাণ ⇨ ৬৭-৬৮%
* বিটুমিনাসে কার্বনের পরিমাণ ⇨ ৬০-৮০%
* অ্যানথ্রাসাইট এ কার্বনের পরিমাণ ⇨ ৯২-৯৮%
প্রাকৃতিক গ্যাস
* প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ⇨ ৮০-৯০%
* প্রাকৃতিক গ্যাসে ইথেনের পরিমাণ ⇨ ১৩%
* প্রাকৃতিক গ্যাসে প্রোপেনের পরিমাণ ⇨ প্রায় ৩%
* বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ⇨ ৯৫-৯৯%
Comments